নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়াঃ বগুড়া ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে জমির জাল কাগজপত্র দাখিলের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় মামলার তিন বাদীর বিরুদ্ধে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হলে বিজ্ঞ আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছেন। বগুড়া ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী আবুল কাসেম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন, বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানার দেশমা গ্রামের মৃত ফকির উদ্দিন প্রামাণিকের তিন পুত্র মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, মোঃ মনির উদ্দিন ও মোঃ মালেক। আদালত সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া জেলার ল্যান্ড সার্ভে ট্রাব্যুনালে ২০১৭ সালের ৩ মে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানার দেশমা গ্রামের মৃত ফকির উদ্দিন প্রামাণিকের তিন পুত্র মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, মোঃ মনির উদ্দিন ও মোঃ মালেক বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত হাছেন আলীর পুত্র মোঃ মোকছেদ আলী, বগুড়ার জেলা প্রশাসক, সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা, ভূমি কর্মকর্তাসহ ৭জনকে বিবাদী করে জেলার শাজাহানপুর থানার দেশমা মৌজার আর এস ২৯৫ ও ৫০৩ নং খতিয়ানের ৬১ শতক সম্পত্তি দাবী করে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত শুনানী ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখতে পান, ওই মৌজার গেজেট ২০০৫ সালের ৭ এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু বাদী পক্ষ মামলা করেছেন ২০১৭ সালের ৩ মে। আইন মোতাবেক খতিয়ানের গেজেট প্রকাশের এক বছরে মধ্যে এবং তামাদি আইন অনুযায়ী পরবর্তী এক বছরের মধ্যে মামলা দায়েরের নিয়ম থাকলেও প্রায় ১২ বছর পরে মামলা দায়ের হওয়ায় তামাদি আইনে তা খারিজ হয়ে গেলে খতিয়ান দুটি জাল ও যোগসাজসীভাবে প্রস্তুত করে আদালতে জমা দেয়ায় বাদীগনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিবাদী পক্ষ প্রার্থনা করায় তা মন্জুর করে ফৌজদারী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বগুড়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নথি প্রেরন করা হয়। ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামছুল আরেফীন এ আদেশ দেন। আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে বগুড়া ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী আবুল কাসেম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ইদানিং দেখা যায় আদালতে জাল কাগজপত্র দিয়ে অনেকেই সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করে থাকে। এসব বিষয়ে সকল আদালতের বিজ্ঞ বিচারকগণ এমন নির্দেশ দিলে জাল কাগজপত্র তৈরি ও তা ব্যবহার কমে যাবে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।